বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন লন্ডনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বৈঠকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। বুধবার এ বিষয়ে যৌথভাবে ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষ।
রয়টার্স জানায়, এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জেনেভায় স্বাক্ষরিত আগের চুক্তিকে বাস্তবায়নের উপযোগী রূপরেখায় রূপ দেওয়া এবং চীনের দুর্লভ খনিজ (rare earth) রপ্তানি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলের প্রক্রিয়া শুরু করা।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমরা এমন একটি কাঠামোয় পৌঁছেছি, যা দুই প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের ভিত্তিতে গঠিত। এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।”
চুক্তির বিস্তারিত না জানানো হলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু খাতে রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিল করবে। তবে এনভিডিয়ার উন্নত চিপসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র আগে অভিযোগ করেছিল, চীন জেনেভার আলোচনায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে রপ্তানিতে জটিলতা তৈরি করেছে। এর জবাবে ওয়াশিংটন চিপ ডিজাইন সফটওয়্যার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হুমকি দেয়।
চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী লি চেংগ্যাং বলেছেন, “লন্ডনের এই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে আস্থার নতুন ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরও বড় বাণিজ্য চুক্তির জন্য এটি পথ প্রশস্ত করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম ধাপ হতে পারে। তবে বাস্তবায়নের গতি না থাকলে উত্তেজনা পুনরায় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।