কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার এক নারী তার পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকে ওই নারী, তার মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের আর বাড়িতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। তবে তাতেও কমেনি কৌতূহলী জনতার ভিড়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিন গণমাধ্যমকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই নারীর বাড়িতে ভিড় করছিলেন, যা ভুক্তভোগীকে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল।
গত ২৬ জুন রাতে স্থানীয় ফজর আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে এলাকাবাসী ফজর আলীসহ আরও একজনকে মারধর করে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে, যা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ভুক্তভোগী নারী থানায় দুটি মামলা করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার পর থেকেই ওই নারী ও তার পরিবার মানসিক চাপে ছিলেন। সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়া, ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ, এবং অবিরাম জনতার ভিড়ে তাদের পারিবারিক জীবন অসহনীয় হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভুক্তভোগী নারী পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে তাকে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিকেলে তাকে বাড়ি ছাড়তে দেখা যায়, পরে তার পরিবারও সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীকে দেখতে যান। তবে তাকে না পেয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, “শুনেছি ভুক্তভোগী নারী আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”