পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ড শেষ হওয়ায় ওইদিন মহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি দিলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করেন।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে পূর্ব বিরোধের জেরে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেতলে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যেখানে প্রধান আসামি করা হয় মাহমুদুল হাসান মহিনকে।
ঘটনার পর ১০ জুলাই প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় মহিনকে। পুলিশ জানিয়েছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
মহিনের জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।