বহুল আলোচিত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইকে ঘিরে থাকা তদন্ত নথি প্রকাশের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ। মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদে ৪২৭-১ ভোটে বিলটি অনুমোদিত হয়। সিনেট জানিয়েছে, বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পাওয়ার পরই পাস করা হবে।
বিল কার্যকর করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। তবে তিনি এরই মধ্যে জানিয়েছেন স্বাক্ষর করবেন। এর আগে সমালোচনার মুখে তিনি অবস্থান বদলে রিপাবলিকানদের নথি প্রকাশে সমর্থন দিতে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার এপস্টেইর ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার কয়েকজন নারী ক্যাপিটল হিলে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, বছরের পর বছর তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে আসছেন।
এপস্টেইন ফাইলস বলতে এফবিআই ও বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে জড়ো হওয়া বিশাল নথিপত্রকে বোঝানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের জবানবন্দি, এবং এপস্টেইনের বিভিন্ন বাড়ি থেকে জব্দকৃত সামগ্রী।
এদিকে বিল নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতাও দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের অতীত অবস্থান ছিল নথি প্রকাশের বিরোধিতা করা। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই তিনি বলেন, “লুকানোর কিছু নেই।” এতে রিপাবলিকান নেতৃত্বও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন কয়েকদিন পূর্বে এপস্টেইন ফাইলস প্রকাশকে “ডেমোক্র্যাটদের অপপ্রচার” বলে উল্লেখ করেছিলেন। এবার বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। একমাত্র বিরোধী ভোটটি দেন লুইজিয়ানার রিপাবলিকান ক্লে হিগিন্স, যিনি নথি প্রকাশ হলে নির্দোষ ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ জানান।
