দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করছেন নয়নতারা। অথচ এই অভিনেত্রীর অভিনয়ে আসার কোনো আগ্রহই ছিল না শুরুতে। ২০০৩ সালে মালয়ালম ছবি ‘মানাশিনাক্কারে’-র মাধ্যমে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক। তখন তিনি কলেজে পড়েন এবং পার্টটাইম মডেলিং করতেন। সেই সূত্রেই নির্মাতা সাথিয়া আনথিকড়ের সঙ্গে পরিচয়। সিনেমার প্রস্তাব পেলেও প্রথমে স্পষ্টভাবে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নয়নতারা, কারণ চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। শেষে এক শর্তে রাজি হন, মাত্র একটি সিনেমা করবেন।
কিন্তু ‘মানাশিনাক্কারে’ মুক্তির পরই সব বদলে যায়। প্রথম ছবি সুপারহিট হওয়ায় একের পর এক প্রস্তাব আসতে থাকে। ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আর ছিল না। ২০০৪ সালে তাঁর দুটি ছবি ‘নাট্টুরাজাভু’ ও ‘বিশমায়াথুমবাথু’ মুক্তি পায় পরপর। এরপর তামিল ও তেলেগু সিনেমায় টানা সফলতা তাঁকে পরিণত করে দক্ষিণের ‘লেডি সুপারস্টার’-এ। ২০০৫ সালে ‘আয়া’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু শিল্পে পা রাখেন। আর ২০২৩ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘জওয়ান’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডেও শক্ত অবস্থান তৈরি করেন তিনি।
পুরুষপ্রধান তামিল–তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে নারী চরিত্র প্রাধান্য পায় না এই সমালোচনার মাঝেও নয়নতারা নিজের পরিশ্রম ও দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজস্ব অবস্থান। ২০০ কোটি রুপির সম্পদের মালিক জিকিউ সাময়িকীর তথ্যমতে, নয়নতারা বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি রুপির সম্পদের মালিক। সিনেমাপ্রতি তাঁর পারিশ্রমিক ৪–৫ কোটি রুপি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনী চুক্তি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ ও নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকেও উল্লেখযোগ্য আয় করেন এই অভিনেত্রী।
