Ridge Bangla

ট্রাম্পের অভিশংসনে মাস্কের সমর্থন সহ মধুর সম্পর্কে বিচ্ছেদ কেন

একজন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যজন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। দুই জনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় সেই সম্পর্কের ভাঙন যেন প্রকাশ্যেই ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এই সম্পর্কে নাটকীয় মোড় নেয়, যখন ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে মত দেন।

বৃহস্পতিবার, মালয়েশিয়াভিত্তিক ডানপন্থী লেখক ইয়ান মাইলস চিওং মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছিলেন, “ট্রাম্পকে অভিশংসন করা উচিত এবং জেডি ভ্যান্সকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা উচিত।” মাস্ক ২০ মিনিট পর ওই পোস্টের জবাবে এক শব্দে উত্তর দেন: “হ্যাঁ।” এই উত্তরের মাধ্যমেই স্পষ্ট হয় তাদের মধ্যে চলমান বিরোধ।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্জের সঙ্গে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, মাস্কের আচরণে তিনি “খুবই বিস্মিত ও হতাশ।”

এর জবাবে মাস্ক এক্স-এ দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল। সেই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন। মাস্ক লেখেন, “এবার বড় বোমা ফেলার সময়। ট্রাম্প এপস্টাইনের নথিতে আছেন। এটাই আসল কারণ যে, এই নথিগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি।”

তিনি আরও লেখেন, “এই পোস্টটি মনে রাখুন। সত্য একদিন প্রকাশ পাবে।”

এই অবস্থায় হোয়াইট হাউসও মুখ খোলে। মাস্ক ও চিওংয়ের পোস্টের পর প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, “ইলনের এই আচরণ দুঃখজনক। তিনি একটি বড়, গুরুত্বপূর্ণ বিলে নিজের পছন্দের নীতি না থাকায় অসন্তুষ্ট।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বর্তমানে এই ঐতিহাসিক বিল পাস ও দেশকে পুনরায় মহত্ত্বের পথে ফিরিয়ে আনার দিকে মনোযোগী।

ট্রাম্প নিজেও বলেন, “ইলন যদি আমার বিরোধিতা করতে চায়, তাতে আপত্তি নেই। তবে সেটা মাসখানেক আগেই করা উচিত ছিল। এই বিল কংগ্রেসে উত্থাপিত অন্যতম সেরা বিল, যা দেশের জন্য মাইলফলক হতে পারে।”

মাস্ক ও ট্রাম্পের বহু বছরের সম্পর্কের এমন ছেঁড়া সুতোর মোড় ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

আরো পড়ুন