নারীর নিরাপত্তা কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি তার মৌলিক অধিকার—এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, নারীরা যেখানেই থাকুন না কেন, নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, “নারীর নিরাপদ চলাফেরা তার অধিকার। সে যেখানেই থাকুক, যা-ই পরুক না কেন, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের দায়িত্ব। এটি না পারা সমাজের জন্য লজ্জাজনক।”
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, “উন্মুক্ত জায়গাগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। নারীর ওপর সহিংসতা হলে কেবল সে বা তার পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না- এর প্রভাব পড়ে পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রে। তাই প্রয়োজন নারীবান্ধব নীতিমালা।”
ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং বলেন, “নারী ও মেয়েরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে, নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় চলাফেরা করতে পারে—এ অধিকার সবার আছে।”
সড়ক পরিবহণ ও সেতু বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, “গণপরিবহণে যৌন হয়রানি বন্ধে আমাদের সক্রিয় হতে হবে। অনেক সময় দেখেও আমরা চুপ থাকি, কিন্তু নীরবতা কোনো সমাধান নয়। আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।”
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, “গণপরিবহণে নারীদের সম্মান করতে হবে। নারীদেরও উচিত নিজের অধিকার নিয়ে সরব হওয়া। এর জন্য সমাজের অনেক জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে।”
সব মিলিয়ে, বক্তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি পুরো সমাজের সম্মিলিত কর্তব্য।