ইউক্রেনে বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদারে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া—জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে ইউক্রেনজুড়ে শহরগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের অনুমোদিত ১১ দেশের সমন্বয়ে গঠিত মাল্টিল্যাটারাল স্যাংকশন মনিটরিং টিম জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ২০,০০০-এর বেশি গোলাবারুদের কনটেইনার সরবরাহ করেছে। শুধু গোলাবারুদ নয়, ৯ মিলিয়নের বেশি যুদ্ধাস্ত্র, অন্তত ১০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল, স্বচালিত কামান, রকেট লঞ্চার ও সেনাও পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব অস্ত্র ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রুশ হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে।
কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি ও পাল্টা সহায়তা
২০২৪ সালের জুনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায়, উভয় দেশ যে কোনো বৈশ্বিক নিরাপত্তা সংকটে একে অপরকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
জবাবে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য, এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
উত্তর কোরিয়ান সেনা রাশিয়ার যুদ্ধে
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো—ইতোমধ্যে প্রায় ১১,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে বলে জাতিসংঘ জানায়। এছাড়া, সম্প্রতি আরও ৩,০০০ সেনা ইউক্রেন যুদ্ধে মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই জোট বিশ্বে নতুন ধরনের সামরিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে এবং চলমান যুদ্ধকে আরও দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল করে তুলতে পারে।