দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আইপিএলের মুকুট পরল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মাথায়। সেই সঙ্গে পূর্ণ হলো বিরাট কোহলির বহু প্রতীক্ষিত শিরোপার স্বপ্ন। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় বেঙ্গালুরু।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ১৯০ রান। জবাবে পাঞ্জাব ২০ ওভারে ১৮৪ রানে থেমে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান, কিন্তু শশাঙ্ক সিংয়ের সাহসী লড়াই সত্ত্বেও পারলেন না দলকে জেতাতে।
আরসিবির হয়ে কোহলি করেন ৪৩ রান, রজন পাতিদার ২৬ এবং শেষদিকে রোমারিও শেপার্ড ও জিতেশ শর্মার ইনিংস স্কোর বাড়াতে সাহায্য করে। পাঞ্জাবের পক্ষে আরশদীপ সিং ও কাইল জেমিসন ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ভালো শুরু করলেও মধ্যভাগে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ১ রানে ফিরলে দলটির ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। আরসিবির হয়ে স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তিনবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি জিততে পারেনি আরসিবি। এবার চতুর্থ প্রচেষ্টায় অবশেষে স্বপ্ন পূরণ করল দলটি। ম্যাচশেষে আবেগে কাঁদেন কোহলি। ১৭ বছর ও ২৯৩ ম্যাচের দীর্ঘ যাত্রা শেষে কোহলি পেলেন আইপিএলের বহু আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা।
এই জয়ে কোহলির মতোই কেঁদেছেন কোটি ভক্ত। ফাইনাল না হলেও আহমেদাবাদের স্টেডিয়াম যেন রূপ নিয়েছিল লাল-কালো রঙে রাঙা বেঙ্গালুরুর এক টুকরো প্রতিচ্ছবিতে। ‘কোহলি, কোহলি’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে পুরো স্টেডিয়াম। এই জয় শুধু একটি দলের নয়, এটি এক অধ্যবসায়ের, এক ভালোবাসার, এক আবেগের বিজয়।