সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় উভয় পক্ষই ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক আরোপের পর এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আলোচনাকে “উৎপাদনশীল ও গঠনমূলক” বলে উল্লেখ করেছেন। চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং জানান, আলোচনা ছিল “গভীর ও খোলামেলা”। উভয় পক্ষ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছে এবং একটি পরামর্শ কাঠামো গঠনে সম্মত হয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর প্রভাব বাজারে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে—চীন ও হংকংয়ের শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী এবং ইউয়ান মুদ্রা শক্তিশালী হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনাকে “নতুন সূচনা” বলে উল্লেখ করে বলেন, “চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের মঙ্গলের জন্য বাজার আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত।”
তবে বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান উচ্চ শুল্কহার এখনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে রয়েছে। যদিও কোনো বড় চুক্তি হয়নি, উভয় দেশ ভবিষ্যতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
এই আলোচনা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আলোচনার পূর্ণ বিবরণসহ একটি যৌথ বিবৃতি সোমবার প্রকাশিত হবে।