প্রাথমিক শিক্ষার মান পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুন একটি অধিদফতর গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমান বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটকে রূপান্তর করে এই অধিদফতরের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে—‘প্রাথমিক শিক্ষা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন অধিদপ্তর’।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এই নতুন অধিদফতর প্রাথমিক শিক্ষার মান পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন, গবেষণা, সুপারিশ প্রণয়ন, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, ডাটাবেজ সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও বক্তব্য প্রচারের কাজ করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি আরও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী অধিদফতরের কাঠামো ও কার্যপরিধি নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
নতুন অধিদফতরের প্রস্তাবিত কার্যপরিধি
-
প্রাথমিক শিক্ষার মান পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও গবেষণা
-
সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম ফলোআপ
-
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন ও পরিবীক্ষণ
-
শ্রেণিভিত্তিক অ্যাকাডেমিক ও শিক্ষকদের দক্ষতার মান নির্ধারণ
-
মাঠপর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য ছক/প্রশ্নমালা প্রণয়ন ও হালনাগাদ
-
ডেটাবেইজ ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা বিষয়ক তথ্য প্রচার
-
জরিপ ও শুমারি পরিচালনা করে প্রতিবেদন প্রণয়ন
-
জাতীয় ডকুমেন্টেশন সেন্টার গঠন
-
শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনায় IPEMIS ও অন্যান্য তথ্যভান্ডারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ
নতুন অধিদফতর গঠনের পর একটি চূড়ান্ত সাংগঠনিক কাঠামো এবং নিয়োগবিধির খসড়া তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। খসড়া অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।
বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর
-
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো
-
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি
-
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট
-
শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট
উল্লেখ্য, বর্তমানে পরিবীক্ষণ ইউনিটে ৫৫ জন কর্মরত রয়েছেন, যারা দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত। নতুন অধিদফতর গঠনের মাধ্যমে এই দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও স্বীকৃতি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।