Ridge Bangla

লিফট না থাকায় চালু হচ্ছে না পিরোজপুরের ২৫০ শয্যার হাসপাতাল

প্রায় এক বছর আগে ভবন নির্মাণ শেষ হলেও লিফট না থাকায় এখনও চালু হয়নি পিরোজপুরের ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের নতুন ভবন। ফলে জেলাজুড়ে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গণপূর্ত বিভাগ এখনও ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেনি।

সোমবার (১২ মে) হাসপাতালের ভবন চালু না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান। বর্তমানে পিরোজপুরের ১০০ শয্যার হাসপাতালেই গড়ে প্রতিদিন ২০০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী থাকায় অনেককেই জায়গা করতে হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। এতে রোগী ও স্বজনরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

পিরোজপুর জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। তখন শুরু হয় ৩১ শয্যার হাসপাতাল। এরপর ১৯৯৭ সালে ৫০ শয্যার নতুন ভবন এবং ২০০৫ সালে সেটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। রোগীর চাপ বাড়ায় ২০১৭ সালে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নতুন সাততলা ভবনের নির্মাণ শুরু হয় দরপত্রের মাধ্যমে, পরে আরও দুইতলা যুক্ত করা হয়। করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময় ২০২০ সালের জুন থেকে কয়েক দফা বাড়িয়ে অবশেষে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হয়। কিন্তু লিফট ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ভবনটি এখনও ব্যবহার উপযোগী হয়নি।

গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম আহমেদ জানান, লিফটের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছু জটিলতা থাকলেও দ্রুত সমাধানের আশা করছেন তিনি। প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মেসার্স খান বিল্ডার্স’ ও ‘বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড’ নতুন ভবনটি নির্মাণ করেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, “আমরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। নতুন ভবনটি চালু হলে সেবার মান উন্নত হবে এবং রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে।”

আরো পড়ুন