কাশ্মীরে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার পর উপত্যকা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, হামলায় অংশ নেয় ছয়-সাত জন, যাদের মধ্যে চার-পাঁচজন পাকিস্তান থেকে এবং বাকি দুজন স্থানীয় হতে পারেন বলে অনুমান।
এই ঘটনার পরপরই কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন পর্যটকরা। পাশাপাশি যারা কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তারাও নিরাপত্তা শঙ্কায় বুকিং বাতিল করছেন। ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর তথ্য অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরগামী প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং বাতিল করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে কাশ্মীরের পর্যটন খাতে মারাত্মক ক্ষতি হবে এবং পুরো বছরের আয় কমে যাবে।
এদিকে, ঘটনার দ্রুত জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতের কেন্দ্র সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটির (সিসিএস) জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
কাশ্মীর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, ইরান এবং ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।