সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে যখন টানাপড়েন চলছে, ঠিক তখনই কলকাতাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র আলোচিত টক শো ‘সোজাসুজি স্বর্ণালী’-তে উপস্থাপিকা স্বর্ণালী সরকার এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
স্বর্ণালী সরকার অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশি অভিনেতারা ভারতে এসে খ্যাতি, সম্পদ, প্রতিপত্তি অর্জন করছেন, অথচ ভারতের পাশে দাঁড়ান না। এমনকি সন্ত্রাসী হামলার মতো গুরুতর ইস্যুতেও তারা নীরব থাকেন।”
তিনি নাম উল্লেখ করে বলেন, জয়া আহসান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, বিদ্যা সিনহা মিম, অপু বিশ্বাস ও শাকিব খানকে “ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত।” পাশাপাশি মিথিলার স্বামী, জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই এটিকে ‘সাংস্কৃতিক বিদ্বেষ’ ও ‘দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা’ বলে আখ্যা দেন। একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “শিল্পী কোনো সীমান্ত মানে না। এ ধরনের মন্তব্য দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সম্পর্কের জন্য হুমকি।” অন্য একজন বলেন, “শিল্প ও সংস্কৃতি কখনোই জাতীয়তাবাদে আবদ্ধ থাকে না। বরং এমন কথাবার্তা ঐতিহাসিক বন্ধনে কালো ছায়া ফেলে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। আর সেই প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বক্তব্য শুধু শিল্পীদের নয়, বরং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দিকেও প্রশ্ন তোলে। এর আগে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে ভারতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তবে এবার বাংলাদেশি শিল্পীদের নিয়ে এমন মন্তব্য দুই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।