উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার জেলায় আগাম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সাত উপজেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়ন আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। মনু, সোনাই, ফানাই, জুড়ী, কন্টিনালা নদী এবং হাকালুকি হাওরের পানির উচ্চতা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া এলাকায় বিএসএফের বাঁধার কারণে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ বন্ধ থাকায় আগের ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম ও সড়ক। মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কের শিমুলতলা ও মাতারকাপন এলাকায় কোমরসমান পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার এবং রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ১৬৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে জরুরি সহায়তা হিসেবে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুলাউড়ার গোগালীর বাঁধ ভেঙে পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হলে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে এবং ২০টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বড়লেখায় খুলে রাখা হয়েছে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, যদিও এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয় নেয়নি। জেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।