চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিলের উদ্যোগ।
তিনি জানান, এই আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তিগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ট্যারিফ কাঠামো পর্যালোচনা ও পুনঃআলোচনার জন্য আরেকটি পৃথক কমিটিও কাজ করছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মেট্রোপলিটন এলাকার বিদ্যুৎ লাইন ও সাবস্টেশনগুলোকে ভূ-গর্ভস্থ করার কাজ শুরু হয়েছে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
এছাড়া উপ-আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতার আওতায় নেপালের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর থেকে গ্রীষ্মকালে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। এটি বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় হ্রাস এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।