অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস নিজে।
এই সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আওতায় দ্বিতীয় দফার আলোচনা। আলোচনায় মূলত রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া, নির্বাচনপদ্ধতি এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ইসমাইল জবিউল্লাহ ও অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আছেন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
জাতীয় কনসারভেটিভ পার্টি (এনসিপি) থেকে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আক্তার হোসেন। এছাড়াও অংশ নিয়েছেন—১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, জেএসডির শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, কমিউনিস্ট পার্টির সাজেদুল হক রুবেল, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাসদের ডা. মুশতাক, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, এলডিপির লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী ও ড. নেয়ামুল বশির, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল ইসলাম নুর এবং আমজনতা পার্টির মিয়া মশিউজ্জামান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্ত সব রাজনৈতিক দলকে এই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সংলাপ শেষে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো যাবে।
উল্লেখ্য, ১৯ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার আলোচনায়ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতাতেই আজকের এই দ্বিতীয় দফার সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।