তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, আর এই গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লান্তি, অবসন্নতা এবং দুর্বলতা দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন পানীয় যেমন তরমুজ, শসা, ডাবের পানি, কমলা ইত্যাদি গ্রহণ করেন। এসব শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তবে এই তালিকায় দই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং এটি নানা উপকারও করে।
তবে দই খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মানা জরুরি। সঠিক নিয়মে দই খেলে তা শুধু শরীর ঠান্ডা রাখে না, বরং বাড়তি পুষ্টিও দেয়।
দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
– সরাসরি দই নয়: দই খাওয়ার আগে এতে হালকা পানি মেশানো উচিত। কারণ দইয়ের প্রকৃতি উষ্ণ; পানি মেশালে এর ভারসাম্য রক্ষা হয় এবং শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
– লবণ নয়, চিনি বা মধু: অনেকে দইয়ে লবণ মিশিয়ে খান, কিন্তু এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর পরিবর্তে দইয়ে চিনি, আমলকির গুঁড়ো বা মধু মিশিয়ে খাওয়া উপকারী।
– কখনো গরম নয়: দই গরম খাওয়া একদমই উচিত নয়। এতে প্রোবায়োটিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যা হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– খাবারের সঙ্গে নয়: দইকে গরম খাবারের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে, ত্বকের সমস্যা বা শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
কখন দই খাবেন?
ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. নেহা গয়ালের মতে, দই খাওয়ার সেরা সময় হলো দিনের বেলা। রাতে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
দই খাওয়ার উপকারিতা:
– দই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করে
– এটি মস্তিষ্ককে শক্তি দেয়
– দেহের পেশি ও হাড় শক্তিশালী করে
– দেহে প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, যা হজমশক্তি বাড়ায়
সঠিক নিয়মে খেলে দই হতে পারে গরমের শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার।