অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২ জুন) ‘দ্য ফাইনাল ওয়ার্ড’ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ম্যাক্সওয়েল বলেন, ২০২২ সালে পা ভাঙার পর থেকেই ওয়ানডে ফরম্যাট তার শরীরের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। চোট কাটিয়ে ফেরার পর ফর্ম হারিয়েছেন, রান করতে পারছেন না এবং ফিটনেস নিয়েও সমস্যায় আছেন। তাই ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য নিজেই জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন তরুণদের জন্য।
২০১২ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে অভিষেক হয় ম্যাক্সওয়েলের। ক্যারিয়ারে ১৪৯টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি, করেছেন ৩৯৯০ রান। ব্যাটিং গড় ৩৩.৮১ এবং স্ট্রাইক রেট ছিল দুর্দান্ত। তার সেরা ইনিংস ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাই ২০১* রানের ঐতিহাসিক ইনিংস। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি ও ২৩টি ফিফটি। বোলিংয়েও ছিলেন কার্যকর—নিয়েছেন ৭৭ উইকেট।
ম্যাক্সওয়েল জানান, অনেক আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেলিকে জানিয়ে রেখেছিলেন ২০২৭ বিশ্বকাপে তিনি থাকবেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর দিকেই তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন।
ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও ম্যাক্সওয়েল চালিয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। তিনি বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিতে চান। পরবর্তী আন্তর্জাতিক বড় আসর হবে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যা ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।
অবসরের প্রতিক্রিয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ বলেন, “গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং ছিল বিস্ফোরক ও দর্শকপ্রিয়। তিনি শুধু ম্যাচ জেতাননি, বিশ্বজুড়ে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে তাঁর বীরোচিত ইনিংস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি ম্যাক্সওয়েলকে ওডিআই ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডায়নামিক খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “তাঁর ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সব জায়গায় ছিল শ্রেণি ও সামর্থ্য। তিনি দুইটি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং এখনো টি-টোয়েন্টিতে আমাদের বড় শক্তি।”