Ridge Bangla

নতুন বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও খাদ্যনিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এবারের বাজেটে এই খাতে ১ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে, যা পূর্বের চেয়ে প্রায় ৩.৫ শতাংশ বেশি।

সোমবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, কৃষির টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই বাজেটের অন্যতম অগ্রাধিকার।

নতুন বাজেটের মোট আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। তবে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকায়, যেখানে গত অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছর আকস্মিক বন্যার কারণে আউশ ও আমন ধানের উৎপাদন কমে যায়, ফলে খাদ্য মজুতে ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি পূরণে সরকার ৯ লাখ টন চাল এবং ৭ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৮.৫ লাখ টন চাল এবং ২ লাখ টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে কৃষকদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি, সারের মজুত (বাফার স্টক) বৃদ্ধি এবং মাঠপর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চলমান ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্যক্রম দেশের ১ হাজার ৯০১টি কেন্দ্রে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া চা-বাগানের শ্রমিকদের প্রতিকেজি ১৯ টাকা দরে গম সরবরাহ এবং ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

খাদ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বাজেটে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার খাদ্যগুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একইসঙ্গে বাজেটে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা এবং স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরির অংশ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, কৃষি আয়ের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য বার্ষিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং গ্রামীণ কর্মজীবী নারীর ৬০ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান এখনো ১১ শতাংশের বেশি।

আরো পড়ুন