Ridge Bangla

গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে একের পর এক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নবনিযুক্ত ভিসির বিরুদ্ধে

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য ড. আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইউসুফ ৫ আগস্ট উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে কয়েক মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ রাকিব হোসেনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপত্রে দুই বছর অবেক্ষাধীন থাকার শর্ত থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাকে স্থায়ী করা হয়েছে, যার ব্যাপারে একই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকদের কিছুই জানানো হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব হোসেন শুরুতে এডুকেশনাল টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করলেও পরবর্তীতে এক্সটার্নাল প্রার্থী হিসেবে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে আবেদন করে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ দেন। তার নিয়োগপত্রে স্পষ্টভাবে দুই বছর পরীক্ষামূলক সময়ের শর্ত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গোপনে রাকিব হোসেনের পদোন্নতির জন্য বোর্ড আয়োজনের প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে, গত ছয় বছরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদোন্নতি বা আপগ্রেডেশন না হওয়ায় কর্মচারী মহলে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। ভিসি এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি।

এছাড়া উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘মাইম্যান কালচার’ চালু করার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিছু আওয়ামীপন্থী শিক্ষককে নিয়ে একটি ক্লোজ সার্কেল তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন, যার বাইরে অন্যদের মতামত বা অংশগ্রহণকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের একাংশ বলছে, উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের ফলে একটি সম্ভাবনাময় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

আরো পড়ুন