Ridge Bangla

রাশিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী: চীন ও রাশিয়া চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়

রাশিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী: চীন ও রাশিয়া চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়

চীন ও রাশিয়া “চিরদিনের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়“, মস্কো সফরকালে এমন মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই বার্তা দেন।

ওয়াং ই বলেন, “চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের নীতিই আমাদের কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়ার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

ওয়াং ই বর্তমানে তিনদিনের রাশিয়া সফরে রয়েছেন। সফরে চীন-রাশিয়ার কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হচ্ছে। তবে এই সফর চলছে এমন এক সময়ে, যখন ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের সমালোচনা করেছেন।

চীন-রাশিয়া সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর ঠিক আগেই চীন ও রাশিয়া ‘সীমাহীন কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করেছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত এক দশকে ৪০ বারের বেশি সাক্ষাৎ করেছেন। তারা পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং তাইওয়ান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত

ওয়াং ই তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বড় শক্তিগুলোর উচিত স্থিতিশীলতা আনা। তিনি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক সঙ্কেতকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “এটি বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্য স্থিতিশীল করতে সহায়ক এবং হতাশাজনক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে আশার আলো জাগায়।

ট্রাম্পের অবস্থান প্রসঙ্গে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের বিষয়ে ওয়াং ই বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়ার প্রতি আরও নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন। তিনি এমন ধারণা নাকচ করে দেন যে, ট্রাম্প রাশিয়াকে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। ওয়াং বলেন, “এ ধরনের চিন্তাভাবনা পুরনো, বিভাজনমূলক এবং সংঘাতমুখী ব্লক রাজনীতির প্রতিফলন, যা আজকের বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক

ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও তার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর চীন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠতার আরও একটি নিদর্শন এবং বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে বড় শক্তিগুলোর অবস্থান পুনর্গঠনের ইঙ্গিত।

আরো পড়ুন