ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর-বিজাপুর সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী) দলের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু রয়েছেন, যিনি মাওবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি রুপি। অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ানও প্রাণ হারিয়েছেন।
এই অভিযানটি ছত্তিশগড়ের আবুজমাড় অঞ্চলের ঘন জঙ্গলে ৭২ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত হয়। এটি মাওবাদী বিদ্রোহ দমনে ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম সফল অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সফলতার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের বাহিনীর এই অসাধারণ সাফল্যে আমরা গর্বিত। আমাদের সরকার মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”
বিশ্লেষকদের মতে, অভিযানে মাওবাদী শীর্ষ নেতৃত্বের পতনের ফলে সংগঠনটি কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে, যা তাদের ভবিষ্যতের কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
চীনা বিপ্লবী নেতা মাও সেতুংয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬৭ সালে ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন মাওবাদীরা। তারা নিজেদের আদিবাসী অধিকার বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পক্ষের লড়াইকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। নকশাল নামেও পরিচিত এই গোষ্ঠী ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে সক্রিয় ছিল, যেখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মাওবাদী যোদ্ধা নিয়োজিত ছিলেন।