Ridge Bangla

জাহাঙ্গীরনগরে ৯ বাস আটক, ছেড়ে দেওয়ার মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে লেনদেনের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাফ ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে নীলাচল পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেছেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হলেও সমঝোতার আড়ালে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বাসগুলো আটকে দেন। শহীদ সালাম-বরকত হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসের চাবি নিয়ে যান এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান (হিরন) সকালবেলা ক্যাম্পাসের সামনে থেকে একটি বাসে উঠেন এবং মানিকগঞ্জের উথুলীতে যেতে চান। হাফ ভাড়া দিতে গেলে বাসের সহকারী তার সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর তিনি হলে ফিরে গিয়ে কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে কয়েকটি বাস আটকে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসচালকদের বরাতে জানা গেছে, নীলাচল পরিবহনের চেকার ফয়সাল ও বেলালসহ কয়েকজন সমঝোতার জন্য ক্যাম্পাসে আসেন। তারা আটকে রাখা বাসগুলোর যাত্রীদের কাছ থেকে মোট ১৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন এবং বিষয়টি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মীমাংসা করবেন বলে জানান। পরে তারা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং শিক্ষার্থীরা চাবি ফিরিয়ে দেন।

বাসচালকদের কাছ থেকে চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় সহকারী প্রক্টর ও কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চেকার ফয়সালকে প্রক্টর অফিসে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাস কর্তৃপক্ষ শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রদল নেতা নবীনুর রহমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন। নবীনুর দাবি করেন, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করতে গিয়েছিলেন, টাকার বিষয়ে কিছু জানেন না।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “বাস আটকের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কিছু অসামঞ্জস্য তথ্যও পেয়েছি। সোমবার বাস কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন