চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। অধিকাংশ যাত্রী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রা করছেন এবং আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। সৌদি আরব থেকে আগত ৭৫ সদস্যের ইমিগ্রেশন দল ঢাকায় অবস্থান করে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করায় হজযাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন এখনো সৌদি আরবেই সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স হজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস।
হজ মুসলমানদের জন্য ফরজ একটি ইবাদত এবং তা গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অতীতে হজযাত্রায় নানা ধরনের ভোগান্তি ও প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার এসব দুর্ভোগ কমাতে সরকার ও প্রশাসন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘লাব্বাইক অ্যাপ’ চালু করা, যার মাধ্যমে হজযাত্রীরা সহজেই স্বাস্থ্য, তথ্য ও ধর্মীয় নির্দেশনা পেতে পারেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বছর নতুন ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে হজযাত্রা হবে আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সম্মানজনক।