বলিউডের সফল অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটি রুপির সম্পদের মালিক, তবে এই অবস্থানে পৌঁছাতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ এক সংগ্রামের পথ। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে অভিনয় করে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দেওয়া এই তারকা নিজের অতীত জীবনের অর্থসংকটের গল্প শেয়ার করেছেন এক সাক্ষাৎকারে।
নুসরাত বলেন, “কলেজে পড়ার সময় আমার বাবার ব্যবসা ভালো চলছিল না। তিনি যা দিতেন, তা খুব হিসেব করে খরচ করতে হতো। প্রতিদিন মাত্র ৮ রুপি খরচ করতাম, যা কেবল যাতায়াতেই চলে যেত। প্রথমে ট্রেনে, তারপর বাসে, তারপর হেঁটে কলেজে পৌঁছাতাম। ফেরার পথটাও একই রকম ছিল। কলেজে শুধু একটাই জিনিস ফ্রি ছিল—পানি। ক্ষুধা পেলে পানি খেয়েই থাকতাম।”
মুম্বাইয়ের জয় হিন্দ কলেজে পড়ার সময় তিনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এ প্রসঙ্গে আর্থিক সচেতনতা নিয়েও কথা বলেন নুসরাত। বলেন, “খুব অল্প বয়সেই সিদ্ধান্ত নিই আমি মাসে কত টাকা খরচ করব। মৌলিক প্রয়োজন মিটিয়ে যা বাঁচে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে চলে যায়। আমার হিসাবরক্ষকদের স্পষ্ট নির্দেশ আছে—টাকা যেন আমার হাতে না আসে।”
২০০৬ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটান তিনি। এরপর ‘লাভ সেক্স অর ধোকা’, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘ছালাং’, ‘ছোড়ি’, ‘আজীব দাস্তানস’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।
নুসরাতের সর্বশেষ সিনেমা ‘ছোড়ি টু’ মুক্তি পায় ২০২৪ সালের ১১ এপ্রিল, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিশাল ফুরিয়া।
অর্থনৈতিক কষ্ট ও লড়াইয়ের সেই দিনগুলোর স্মৃতি আজও তার মনে গেঁথে আছে— যা তাকে শৃঙ্খলিত জীবনযাপনের দিকে ধাবিত করে এবং উৎসাহ জোগায় নতুন প্রজন্মকেও।