দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খুব আলোচিত একজোড়া শব্দ। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পরে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ‘সেভেন সিস্টার্স’ বার বার শোরগোল তুলেছে তাদের গণমাধ্যমে। এখনও প্রায়ই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংঘাতময় পরিস্থিতি ভারতের নীতিনির্ধারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে।
কিছুদিন আগেই মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের খবরগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। বর্তমান ভারতের সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি-র রাজনৈতিক আগ্রাসনের ক্ষেত্রেও ‘সেভেন সিস্টার্স’ বেশ আলোচিত। সংঘাতময় পরিস্থিতি কিংবা ভূরাজনৈতিক জটিল সমীকরণের বাইরে সেভেন সিস্টার্স প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বেশ বিখ্যাত। এছাড়া সেখানে অসংখ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সহাবস্থান ও তাদের মৌলিক রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নৃতাত্ত্বিক ও সমাজবিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপক ‘কেস-স্টাডি’।
ভৌগলিক অবস্থান একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি যেমন একটি দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারে, তেমনই চিরকালীন দুর্বলতার জায়গাও হতে পারে। উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝা যেতে পারে।

দূরপ্রাচ্যের দেশ জাপান হচ্ছে এশিয়ার বড় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র দেশ, যারা কখনও কোনো পশ্চিমা শক্তির দ্বারা ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের শিকার হয়নি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো দেশটির ভৌগলিক অবস্থান। জাপান অনেকগুলো দ্বীপের সমষ্টি। সুতরাং জাপানে কেউ আক্রমণ করতে চাইলে তার হাতে শুধু দুটো পথ খোলা রয়েছে– হয় আকাশপথে আক্রমণ চালাতে হবে, নয়তো সমুদ্রপথে।
জাপানের নৌবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ায় সমুদ্রপথে আক্রমণ করাটা খুবই বিপজ্জনক। আর ঔপনিবেশিক যুগে আকাশপথে আক্রমণ করার মতো অগ্রগতি বিজ্ঞান অর্জন করতে পারেনি। ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড রাশিয়া ও জার্মানির মাঝখানে অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি যখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায়, তখন পোল্যান্ড আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
সেভেন সিস্টার্স বলতে বোঝানো হয় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে। এই সাতটি রাজ্য হচ্ছে আসাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোট আটটি রাজ্য থাকলেও সিকিমকে ‘সেভেন সিস্টার্স’ থেকে আলাদা হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ ভৌগলিকভাবে এটি সরাসরি এই সাতটি রাজ্যের সাথে সংযুক্ত নয়। ভারতের এই সাতটি রাজ্যের একটি মৌলিক অবস্থানের কারণ হলো ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে এই সাতটি রাজ্য সংযুক্ত রয়েছে ষাট কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং মাত্র বাইশ কিলোমিটার (কিছু কিছু স্থানে মাত্র সতের কিলোমিটার) প্রস্থের একটি করিডোরের মাধ্যমে।
মজার ব্যাপার হলো, মানচিত্রের দিকে তাকালে এই করিডোরকে দেখতে মুরগীর গলার মতো দেখা যায় বলে একে ‘চিকেন’স নেক’ বলা হয়। ‘চিকেন’স নেক’ বা ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ ভূ-রাজনৈতিকভাবে এত বেশি তাৎপর্যপূর্ণ স্থান যে, বহিরাগত কোনো শক্তি যদি এই স্থান দখল করে নেয়, তবে ভারতের এই সাতটি রাজ্য মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই এই করিডোরকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সুরক্ষিত করে রাখার চেষ্টা করে আসছে।

ইতিহাসের পাতায় একটু চোখ বোলানো যাক। মুঘলদের হাত থেকে ভারতবর্ষ নিজেদের দখলে নেয়ার পর ব্রিটিশরা তাদের সাম্রাজ্য ‘সেভেন সিস্টার্স’ অতিক্রম করে মিয়ানমার পর্যন্ত প্রসারিত করে। শাসনের সুবিধার জন্য ব্রিটিশরা পুরো ভারতকে বেশ কিছু ভাগে বিভক্ত করে। ভারতবর্ষের কিছু অঞ্চল সরাসরি ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত হতো, আবার কিছু অঞ্চল ব্রিটিশদের অনুমোদনক্রমে স্থানীয় রাজারা শাসন করতেন। কিন্তু সেগুলোও ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেমন- ত্রিপুরা ও মণিপুর ব্রিটিশ ভারতের স্থানীয় রাজাদের দ্বারাই শাসিত হতো। এজন্য এগুলোকে বলা হতো ‘প্রিন্সলি স্টেট’ (Princely State) বা দেশীয় রাজ্য।
অপরদিকে আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল ছিল সরাসরি ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির আসাম প্রদেশের অংশ। ব্রিটিশরা ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষকে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে ভাগ করার পর প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলোকে যেকোনো একটি স্বাধীন দেশে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। আসাম প্রদেশ (আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল) শুরু থেকেই ভারতের সাথে যুক্ত হয়। ১৯৪৯ সালে দুটি দেশীয় রাজ্য মণিপুর ও ত্রিপুরাও ভারতের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
কিন্তু বাধ সাধে বসে নাগা জাতির মানুষেরা। বলে রাখা ভালো, তখন নাগাল্যান্ড নামের আলাদা কোনো প্রদেশ ছিল না, নাগারা তখনও আসামেই বসবাস করতেন। ভারতের অধীনতা স্বীকার না করে তারা স্বাধীন দেশের জন্য দাবি তুলতে শুরু করেন। ১৯৫২ সালে নাগা জাতিগোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন দেশের দাবিতে অহিংস আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর প্রেক্ষাপটে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলন দমানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়ে দেয়।

পরে আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৬২ সালে আসাম থেকে আলাদা হয়ে ‘নাগাল্যান্ড’ নামের আরেকটি প্রদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার ‘বাটারফ্লাই ইফেক্ট’ হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য বড় জাতিগোষ্ঠীর মানুষরাও আলাদা প্রদেশের দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করে। এর ফলে ১৯৭২ সালে মেঘালয় রাজ্য আসাম থেকে পৃথক হয়ে ‘স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। একই সময়ে অরুণাচল ও মিজোরাম রাজ্যও স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
আগেই বলা হয়েছে, সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য তথা সেভেন সিস্টার্সের সাথে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগের একমাত্র উপায় হচ্ছে শিলিগুড়ি করিডোর, যাকে ‘চিকেন’স নেক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই রাজ্যগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র দল সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর আট দশক পার হয়ে গেলেও এই প্রদেশগুলোতে উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ।
একে পুঁজি করেই এই স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রায়ই এই সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। যদি শিলিগুড়ি করিডোর না থাকত, তবে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সরাসরি সেভেন সিস্টার্সে তাদের ভাষায় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আন্দোলন দমন করতে পারত না। এতে তাদের ভৌগলিক অখণ্ডতা হুমকির মধ্যে পড়ে যেত। কোনো রাষ্ট্রই তার কোনো অংশকে স্বাধীনতা দিতে চায় না, কারণ এতে অন্য অংশগুলোর মধ্যেও স্বাধীনতার আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ ভাগ করার পর ভারতের মূল আশঙ্কা ছিল চীন ও পাকিস্তান যদি যৌথভাবে শিলিগুড়ি করিডোরে আক্রমণ চালায়, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য তা হবে স্রেফ দুঃস্বপ্ন। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত সীমান্তযুদ্ধে ভারতের লজ্জাজনক পরাজয় সেই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ভারত যে সামরিক ও কলাকৌশলগত দিক থেকে চীনের চেয়ে ঢের পিছিয়ে আছে, এই যুদ্ধ চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দেয়।
তবে এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে বড় রকমের পরিবর্তন দেখা দেয়, যা ভারতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সামরিক সংঘাত তৈরি হয়, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতার দাবিতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল স্বাধীনতা লাভ করে। নতুন এই রাষ্ট্র তথা বাংলাদেশ শুরু থেকেই ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করায় এবং সামরিকভাবে ভারতের সমকক্ষ না হওয়ায় চিকেন’স নেকে পাকিস্তান-চীনের যৌথ হামলার আশঙ্কা দূরীভূত হয়। কিন্তু শিলিগুড়ি করিডোরের দিকে চীনের চোখরাঙানি এখনও ভারতের জন্য বেশ অস্বস্তিকর ব্যাপার।
চীন শুরু থেকেই শিলিগুড়ি করিডোরের আশেপাশে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে দোকলাম মালভূমিতে ভারত ও চীনের সৈন্যদের মাঝে যে সংঘাতমত পরিস্থিতির সূচনা হয়, তার পেছনেও ছিল এই করিডোরের ভূ-রাজনীতি। দোকলাম মালভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটানের সীমানাভূক্ত এবং ভারত একে ভুটানের অংশ হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু চীন দাবি করে- দোকলাম মালভূমি তাদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত।

দোকলাম মালভূমি এমন এক ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে, যার একপাশে আছে চুম্বি উপত্যকা, আর অপরপাশে রয়েছে শিলিগুড়ি করিডোর তথা চিকেন’স নেক। শিলিগুড়ি করিডোর থেকে চীনের সীমানার দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। কিন্তু চীন যদি দোকলাম মালভূমির উপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তবে চীনের সামরিক বাহিনী শিলিগুড়ি করিডোরের একদম কাছাকাছি এসে পড়বে৷ এটি ভারতের নিরাপত্তার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে।
১৯৯৭ সালে চীনের পক্ষ থেকে ভুটানকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল দোকলাম মালভূমির কর্তৃত্ব যেন চীনের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে চীনারা ভুটানের মূল ভূখণ্ডের উপর থেকে তাদের দাবি সরিয়ে নেবে। কিন্তু ভুটান এতে রাজি হয়নি। ধারণা করা হয়, ভারতের চাপেই ভুটান এতে রাজি হয়নি।
বর্তমানে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিও সেভেন সিস্টার্সের স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় হুমকি হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মায়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনতাকামী আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন প্রদেশে। সম্প্রতি মায়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি প্রদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে অতি শীঘ্রই– এরকম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷

দীর্ঘকাল ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ফলে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যেটি ভারতের নিরাপত্তার দিক থেকে বড় হুমকি। মায়ানমারের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের যোদ্ধাদের হাত থেকে যদি কোনোভাবে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সেভেন সিস্টার্সের স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর হাতে চলে আসে, তাহলে ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর সাথে তাদের সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে অসংখ্য স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও ইতিহাসসমৃদ্ধ বিভিন্ন অঞ্চল মিলে একত্রে একটি জোটের মতো অবস্থান করছে। কেন্দ্রের সাথে বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকারের দ্বন্দ্ব তো রয়েছেই, বেশ কয়েকটি প্রদেশে স্বাধীনতাকামী আন্দোলনও সময়ে সময়ে বেশ জোরালো আকার ধারণ করেছিল। ভৌগলিকভাবে খুবই বৈচিত্র্যময় এই দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় স্বাধীনতার পর ভারতের সব সরকারই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে, এখনও করে যাচ্ছে।
সেভেন সিস্টার্স এমন ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে, যেখানে অতি অল্প আয়তনের একটি জায়গা দখল করার মাধ্যমেই প্রায় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ ও সেখানে অবস্থানরত প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে ফেলা সম্ভব। চীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই করিডোরকে কেন্দ্র করে সামনে কী পদক্ষেপ নেবে, তা সময়ই বলে দেবে।
তথ্যসূত্র
1) India’s Governance Crisis: The Seven Sisters in Turmoil – Thought Smash
2) Will China Sink Its Teeth Into India’s Chicken Neck? – Daily Industry
3) The Geopolitical Landscape of India’s Seven Sisters: A Strategic Northeastern Frontier – Vocal
4) Why are India’s Seven Sisters States Economically Underdeveloped? – Business Inspection