Ridge Bangla

শিল্পীদের সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা

সংস্কৃতি খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও এর কার্যকর ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারের প্রতি ১০ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন নাট্য ও সংগীত অঙ্গনের শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ‘সংস্কৃতি খাতে বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা’। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

১০ দফা প্রস্তাবনা

১. ডিজিটাল আর্কাইভ এবং ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর অবকাঠামো নির্মাণ
২. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আর্থিক সহায়তা
৩. লোকসংস্কৃতি ও নৃগোষ্ঠী সংস্কৃতির জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান গঠন
৪. বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির আধুনিকায়ন
৫. দক্ষ জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন
৬. সংস্কৃতিসেবীদের জন্য পেনশন চালু
৭. বিদেশে সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম সম্প্রসারণ
৮. শিল্পী ও সংগঠনের জন্য অনুদান বাড়ানো ও বরাদ্দের কার্যকারিতা নিশ্চিত
৯. সংস্কৃতি খাতকে রেভিনিউ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
১০. সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ ও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ

সেমিনারের প্রধান অতিথি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, “শিল্পীদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ না থাকলে সৃজনশীলতা বাধাগ্রস্ত হয়।” সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা বলেন, “সংগীতশিল্পীদের সম্মানী ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় গ্রেডিং সিস্টেম জরুরি।”

অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, “থিয়েটার খাতে বাজেট বৃদ্ধি কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়, বরং এটি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত।” নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত সমস্যা ও বাজেট ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার সমালোচনা করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ‘থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা’র সভাপতি আজাদ আবুল কালাম।

আরো পড়ুন