সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করেছে। সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযোগকারী হলেন এক প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ প্রকাশের আগেই সেনাবাহিনী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অভিযোগের সংবেদনশীলতা ও অভিযোগকারীর সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত বোর্ড প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের কাজ করছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকে না। তবে মানবিক কারণে অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সেনাবাহিনী জানায়, তারা নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সকল অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা হয় এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা পূর্বে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।