নির্বাচন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার জন্য সারা জাতি অপেক্ষায় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম করেছেন। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগেও যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা দূর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম। এই ঘোষণার মাধ্যমে দোদুল্যমানতা দূর হয়েছে। এখন দেশ নির্বাচনমুখী পরিবেশে যাবে এবং একটি স্বাভাবিক নির্বাচনী আবহ তৈরি হবে।”
বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এটি আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত একটি নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পাবে। সে লক্ষ্যেই আমরা জনগণকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা—নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজকের এই মহান দিবসের পর থেকেই আমরা নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়।”