আন্তর্জাতিক সংগীত জগতের সুপারস্টার জাস্টিন বিবার বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন। চিকিৎসা খরচ, বাতিল হওয়া শো ও ব্যক্তিগত ব্যয়ের চাপে তার হাতে আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই অবস্থায় স্ত্রী হেইলি বিবারের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাকে।
মার্কিন বিনোদনমাধ্যম টিএমজেড জানিয়েছে, সাবেক ম্যানেজার স্কুটার ব্রনের কাছে বিবারের দেনা প্রায় ৩১ মিলিয়ন ডলার। সেই দেনা পরিশোধে ভরসা এখন হেইলির কসমেটিক ব্র্যান্ড Rhode-এর বিক্রির অর্থ। সম্প্রতি রোড ব্র্যান্ড বিক্রির একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্যায়ন ১ বিলিয়ন ডলার। এই বিক্রির মাধ্যমে বিবার দম্পতির হাতে আসতে পারে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বিবারের দেনা মেটানো হবে।
২০২২ সালে বিরল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিবার তার ‘জাস্টিস ট্যুর’ বাতিল করতে বাধ্য হন। এতে আয়োজকদের প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়, যার বেশিরভাগই স্কুটার ব্রনের কোম্পানি বহন করে। এছাড়া ১১ মিলিয়ন ডলারের কমিশনের অর্ধেকও ব্রন মাফ করে দেন।
এদিকে ২০২৩ সালে নিজের গানের সম্পূর্ণ ক্যাটালগ ২০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন বিবার। তবে কর ও অন্যান্য খরচের কারণে সেই অর্থও দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
টিএমজেড আরও জানায়, “এই মুহূর্তে জাস্টিন বিবার স্ত্রীর আয়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। তার দেনা পরিশোধের একমাত্র উপায় হেইলি বিবারের কোম্পানি বিক্রির আয়।”
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ সহানুভূতি জানিয়েছেন, কেউ আবার অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন। তবে এখনো বিবার দম্পতি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।