আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে যাচ্ছেন শিক্ষক নিবন্ধনধারী তিনটি গ্রুপ। আগামী ১৫ জুন রোববার এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে। যদিও আন্দোলনের ধরন এখনো বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি, অংশগ্রহণকারীরা ‘কঠোর’ কর্মসূচির আভাস দিয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন ১-১২তম, ১৭তম এবং ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা।
১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষার প্রার্থী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “এই পরীক্ষায় ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে ফেল করানো হয়েছে। অথচ ভাইভায় ২০ নম্বরের মধ্যে প্রশ্নোত্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ৪ নম্বর, যার জন্য কেউ ফেল করবে—এটা অস্বাভাবিক। অতীতে কখনো এত সংখ্যক প্রার্থী ফেল করেনি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ১ জন পাস করেছে আবার কোথাও ৩০ জনের মধ্যে ২৭ জন। এসব তথ্য থেকেই অনিয়মের বিষয়টি স্পষ্ট। আমরা চূড়ান্ত ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং এই দাবিতে রোববার এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করবো।”
অন্যদিকে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মো. জমির উদ্দিন বলেন, “একটি পরীক্ষা শেষ করতে এনটিআরসিএ চার বছর সময় নিয়েছে। ফলে আমাদের মধ্যে ৭৩৯ জন প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের সীমা অতিক্রম করেছে। এখন আমরা কোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারছি না। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আমাদের পক্ষে রয়েছে। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরাও ১৫ জুন এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হবো।”
আন্দোলনে বিভিন্ন ব্যাচের প্রার্থীদের একত্রিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সবারই নিজ নিজ দাবিতে আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। আমরা সবাই এনটিআরসিএর সামনে নিজ নিজ দাবিতে একত্রিত হবো।”
এদিকে আন্দোলনের আশঙ্কায় ঈদের ছুটির আগেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে এনটিআরসিএ। সচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১-১২তম এবং ১৮তম ব্যাচের প্রার্থীরা কার্যালয় ঘেরাও করতে পারে। তাই ১৫ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।”