রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোঁয়াচে চর্মরোগ স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া নীরব মহামারির রূপ নিচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই চুলকানিযুক্ত রোগে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
শরীরে লালচে র্যাশ, তীব্র চুলকানি এবং চামড়া ফেটে রক্ত বের হওয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা গেছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্য একসঙ্গে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। চার বছর বয়সী রাফিয়া সারা শরীরে র্যাশ নিয়ে চিকিৎসাধীন। তার মা জানান, একবার চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা ভালো হলেও কিছুদিন পর আবার একই সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগটি গরমকালীন এলার্জি মনে করে অনেকেই অবহেলা করছেন, ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে। স্ক্যাবিসের জীবাণু মূলত হাতের আঙুলের ফাঁক, কব্জি, নাভি ও গোপনাঙ্গে বেশি সংক্রমণ ঘটায়।
সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহেদ পারভেজ বলেন, “মানুষ অসচেতন বলেই এটি নীরব মহামারিতে পরিণত হচ্ছে। ভুল ওষুধ খেয়ে অনেকে পরিস্থিতি আরও জটিল করছেন।”
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শুধু আক্রান্ত ব্যক্তিই নয়, বরং একই ঘরে বসবাসকারী সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে। না হলে রোগটি বারবার ফিরে আসবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো চিকিৎসা না নিলে স্ক্যাবিস কিডনি পর্যন্ত ক্ষতি করতে পারে। তাই সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে এই রোগ প্রতিরোধের মূল উপায়।