ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানির সময় এবং হাটে কেনাবেচার মধ্যে সারা দেশে বহু মানুষ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) জানায়, গত দুই দিনে ৬৫১ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে ১৮১ জনকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
নিটোর সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুন (ঈদের আগের দিন) ও ৮ জুন (ঈদের দিন) পশুর হাটে হুড়োহুড়ি, কোরবানির সময় গরু ছুটে যাওয়া, শিংয়ের আঘাত, পা লাথি কিংবা ধারালো ছুরি-কুড়ালের আঘাতে এসব মানুষ আহত হন। কেউ হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে এসেছেন, কেউ গুরুতর রগ বা ত্বকে ক্ষত নিয়ে।
ঈদের দিনে আহত ৩২৫ জন
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিপন ঘোষ জানান, “ঈদের দিন একদিনেই ৩২৫ জন রোগী এসেছেন, যাদের মধ্যে ১০২ জনকে জরুরি অস্ত্রোপচারে নিতে হয়েছে।” আগের দিন আরও ৩১৬ জন আসেন, যাদের মধ্যে ৭৯ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়।
ভর্তি আছেন ২০৭ জন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ২০৭ জন রোগী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন, এবং ৪৩৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবারও সকাল থেকে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে। নিটোরে দায়িত্বরত আনসার সদস্য হাবিব জানান, “দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৭০-৮০ জন নতুন রোগী এসেছেন।”
চিকিৎসকদের মতে, ঈদের সময় সচেতনতার অভাব, অব্যবস্থাপনা ও অপ্রশিক্ষিত লোকজনের মাধ্যমে কোরবানি দেয়ার কারণেই এ ধরনের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তারা ঘরে বা হাটে কোরবানির সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।