সারা দেশে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সময়ে রেলপথে ৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হন। সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে মোট ৬৪১টি দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৫৩ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত এবং ২০৮ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.২৭ শতাংশ এবং মোট নিহতের ৪১.১ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত এবং ৩৬৪ জন আহত হন। অন্যদিকে, বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে—৩১টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ৮৬ জন আহত হন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে: ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ ও দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতি, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল, রোড সাইন বা আলোর অভাব, ফিটনেসবিহীন যান, অদক্ষ চালক, ফুটপাত দখল, উল্টো পথে চলাচল এবং সড়কে চাঁদাবাজি।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে: রাষ্ট্রীয়ভাবে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য ব্যাংক চালু, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ছোট যানবাহনের আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, ডিজিটাল ফিটনেস সার্টিফিকেশন, রাতের বেলায় প্রতিফলকযুক্ত পোশাক বাধ্যতামূলক করা, সড়ক আলোকসজ্জা নিশ্চিত করা, ব্লাক স্পট নিরসন, সড়ক নিরাপত্তা অডিট এবং বিআরটিএর কার্যক্রম সংস্কার।
দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।