বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর মৃত্যুর রহস্য। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হওয়ায় নতুন করে তদন্তে নেমেছে রমনা থানা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর ইস্কাটন প্লাজার সেই ফ্ল্যাটের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ১৯৯৬ সালে সালমান শাহর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হককে। এছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ বাহাই, লতিফা হক লুসি, অভিনেতা ডনসহ মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আদালতের আদেশে মামলাটি পুনঃতদন্ত ও হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইস্কাটন প্লাজার সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে প্রতিটি অংশ ঘুরে দেখেছে এবং ভিডিও ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন সিলগালা অবস্থায় থাকা এই ফ্ল্যাটে বর্তমানে নতুন মালিক বসবাস করছেন। নব্বইয়ের দশকে স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে এখানেই ভাড়া থাকতেন সালমান শাহ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা শুরু থেকেই সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন। পিবিআইয়ের আত্মহত্যার মতবাদ তারা কখনোই মেনে নেননি। আলমগীর কুমকুম বলেন, “আমার ভগ্নিপতি জীবিত থাকতেই ন্যায়বিচারের লড়াই শুরু করেছিলেন। অবশেষে ২৯ বছর পর আমরা সেই পথে এক ধাপ এগোলাম। ইনশাআল্লাহ, প্রমাণ হবে এটা হত্যা।”
