রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়ার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে পানি-বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতায় পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা বিপৎসীমা অতিক্রম করায় চাপ কমাতে জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়। পরে ওই রাতেই আরও ১ ফুট বাড়ানো হয়। বুধবার দুপুর ১টায় আড়াই ফুট করে পানি ছাড়া হয় এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তা সাড়ে তিন ফুটে উন্নীত করা হয়।
কাপ্তাই পানি-বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান জানান, বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ৮৪ ফুট এমএমএল, যেখানে ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএমএল। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০–২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, যা থেকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে পড়ছে।
পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে নদী পারাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হয়, যা প্রায় ৭০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কৃত্রিম হ্রদ সৃষ্টি করেছে।