বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান প্রায় ১২ বছর আগে ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ২০১২ সালে কক্সবাজারে ছবিটির শুটিং শুরু হয়, যেখানে পরিকল্পনা ছিল টানা ১০ দিন সাকিবের শুটিং হবে। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝপথে হঠাৎ তিনি জানান, আর শুটিং করতে পারবেন না। বারবার অনুরোধের পরেও তাকে রাজি করানো যায়নি, ফলে কাজ বাধ্যতামূলকভাবে থেমে যায়।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার খবর পুনরায় প্রচারিত হওয়ায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, সাকিব আসলে চলচ্চিত্রে নয়, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছিলেন। অন্যদিকে কেউ দাবি করছেন, এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অংশ ছিল। ছবিতে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেঘলা মুক্তা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না এত বছর পর কেন এই প্রসঙ্গ আবার সামনে এসেছে। আমরা সবাই জানতাম এটি একটি চলচ্চিত্র এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সাকিব ভাই আমাদের সঙ্গে শুটিং করেছিলেন, এমনকি একটি গানের দৃশ্যও ধারণ হয়েছিল। হঠাৎ করে কেন কাজ বন্ধ হলো, সেটা জানি না।”
পরিচালক রাজিবুল হোসেনও ঘটনায় নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। সাকিব আল হাসান প্রফেশনাল ক্ল্যাপস্টিক নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করলে প্রজেক্টটি ঝুলে যায়। আমি চাইলে তাকে বাদ দিয়ে সিনেমা শেষ করতে পারতাম, কিন্তু অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা বানানো সম্ভব নয়।”
