Ridge Bangla

সরকারি চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চাইল ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপ’

সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপ’। শনিবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, “জনগণের করের টাকায় পরিচালিত এই প্রক্রিয়াটি ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান তালিকা প্রকাশের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন ও জনমহলে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, অনুদান প্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও পক্ষপাতহীন হতে হবে। শুধু পরিচিত মুখদের নয়, প্রতিভাবান নতুন নির্মাতাদেরও সমান সুযোগ পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সংগঠনটি।

তারা অভিযোগ করে, অস্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া, মাত্র ২–৩ মিনিটের পিচিংয়ের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত, কোনো লিখিত মানদণ্ডের অভাব, জুরিবোর্ডে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের তুলনায় আমলাদের আধিক্য এবং স্বার্থের সংঘাত—এই সবই অনুদান প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এমনকি সরকারি বিভিন্ন কমিটির সদস্যরাও এবার নিজেরা অনুদান পেয়েছেন, যা বিদ্যমান নীতিমালা ও শুদ্ধাচার আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এই প্রেক্ষাপটে সংগঠনটি অনুদান প্রক্রিয়া সংস্কারে সাতটি সুপারিশ তুলে ধরে—
১. প্রাপ্ত নম্বরসহ শর্টলিস্ট ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা,
২. নির্মাতাদের আপিলের সুযোগ রাখা,
৩. সরকারি কমিটির কোনো সদস্য বা তাঁর নিকটজন যেন অনুদান না পান, সে বিষয়ে বিধিমালা প্রণয়ন,
৪. নম্বর প্রদানের মানদণ্ড প্রকাশ করা,
৫. জুরিবোর্ড ও কমিটিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সংখ্যা কমপক্ষে ৭০% নিশ্চিত করা,
৬. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাপ্ত স্কোর উন্মুক্ত করা এবং
৭. আমলাতান্ত্রিক প্রভাব কমিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে কমিটি পুনর্গঠন করা।

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপ’ মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে সরকারি অনুদান প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরবে এবং দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশ সম্ভব হবে।

আরো পড়ুন