ইসলামি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও শরীয়াহ নীতির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে নিজস্ব শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ড (এসএবি) গঠনের নীতিমালা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। “বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ডের (এসএবি) গঠন, সদস্য নিয়োগ-অপসারণ ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালা–২০২৫” শিরোনামে প্রণীত এ নীতিমালাটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৪৪তম সভায় অনুমোদিত হয়।
বিশ্বের বহু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল বা বোর্ড বিদ্যমান। ইসলামি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শরিয়াহভিত্তিক অর্থ-শিল্প সম্পর্কিত “সন্দেহযুক্ত বিষয়’’ নিষ্পত্তি, মানদণ্ড নির্ধারণ, নতুন প্রডাক্টের শরিয়াহ যাচাই ও প্রয়োজনীয় রেজুলেশন প্রদানে এ বোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া “ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ ২০২৫”-এর অনুচ্ছেদ ১৬ অনুযায়ী ইসলামি ব্যাংকগুলোর রেজুলেশনের বিষয়ে পরামর্শ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিজস্ব শরিয়াহ বোর্ড গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক ছাড়াও ৩১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং শাখা বা উইন্ডোর মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইসলামি ব্যাংকিং খাতে জনগণের সম্পৃক্ততা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে শরিয়াহ মানদণ্ড, অডিট, গভর্ন্যান্স, লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্টসহ নীতি নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, গভর্নর দেশের স্বনামধন্য শরিয়াহ স্কলার ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের নিয়ে সাত সদস্যের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এসএবি গঠন করবেন। এর মধ্যে অন্তত পাঁচজন হতে হবে শরিয়াহ স্কলার। এসএবি’র চেয়ারম্যানকে গভর্নর মনোনীত করবেন সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য। ইসলামি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পরিচালক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তবে ভোটাধিকার থাকবে না। শরিয়াহ কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সব সদস্যকেই তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) সই করতে হবে।