এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং চায়নার কাছে লড়াই করে ৭ গোলের ম্যাচে হংকং চায়নার কাছে ৪-৩ গোলে শেষ মুহূর্তে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরে হামজাদের পাশাপাশি সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। ম্যাচ দেখে দেশসেরা সাবেক গোলকিপার আমিনুল হক আজ উত্তরায় একটি ক্যাফে উদ্বোধন করতে এসে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
ম্যাচে ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। তবে দুর্দান্ত কামব্যাকে ম্যাচে সমতা আনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। শমিত সোমের গোলে স্কোর ৩–৩ হওয়ার পরও শেষ মুহূর্তে এক গোল হজম করে স্বাগতিকেরা। সেই আফসোসই এখন সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে সমর্থকদের।
কেন এমন হলো মিতুলের, সেটা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। এদিকে হামজা চৌধুরী আর শমিত সোমের বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্তির প্রভাব নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছে নিজেদের ভুলে। ৩টি গোল রীতিমতো উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে এরপরও গোলরক্ষকের নৈপুণ্য বাঁচিয়ে রাখতে পারত দলকে। কিন্তু মিতুল মারমাও ছিলেন নিস্প্রভ।
সাফজয়ী সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক মনে করেন, হংকং ম্যাচে গোলকিপার মিতুল মারমা নার্ভাস ছিলেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার উত্তরায় একটি ক্যাফের উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচ নিয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
আমিনুল হক বলেন, গোলকিপার যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারতো, তাহলে হয়তো ফলটা ভিন্ন হতে পারতো। আমার মনে হয়েছে, আমাদের গোলকিপার কিছুটা হলেও নার্ভাস ফিল করেছে।
দলের এমন হারে পর কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার কৌশল ও সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে আমিনুল বলেন, আমরা কিন্তু গতানুগতিক কথার মধ্যে আছি। হারলে সবাই কোচকে দোষ দেয়, জিতলে বলে সবাই মিলে জিতেছি। হেরে গেলে সমালোচনা থাকবেই। তবে এটাকে ইতিবাচকভাবেও দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, কোচ সব সময়ই চায় তার বেস্ট ইলেভেন খেলাতে। কিন্তু টিম হেরে গেলে দোষটা এসে পড়ে কোচের ঘাড়ে। আসলে সঠিক সময়ে খেলোয়াড়েরা ক্লিক করতে না পারলেই সমস্যা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত লাল–সবুজ জার্সিতে গোলপোস্ট সামলেছেন আমিনুল। এই সময়ে দেশের হয়ে খেলেছেন পঞ্চাশের বেশি ম্যাচ।