বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলায় ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শুক্রবার (১৩ জুন) ধুবড়ি সফরকালে সাংবাদিকদের তিনি জানান, পাথর ছোঁড়াসহ যেকোনো ধ্বংসাত্মক বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ধুবড়ির একটি মন্দির প্রাঙ্গণে পশুর মাংস পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার পর্যন্ত এই ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের দিনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, এবং পরবর্তীতে তা পুরো জেলাজুড়ে উত্তেজনার জন্ম দেয়।
বিশ্বশর্মা অভিযোগ করেন, “নবীন বাংলা” নামের একটি সংগঠন ধুবড়িকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে পোস্টার লাগিয়েছে। তিনি একে “বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্র” বলে দাবি করেন এবং জানান, এ ধরনের কোনো উসকানিমূলক তৎপরতা সহ্য করা হবে না। এর প্রেক্ষিতে ধুবড়িতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) ও সিআরপিএফও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, “ধুবড়িতে এখন থেকে রাতে শুট অন সাইট (দেখামাত্র গুলি চালানো) নির্দেশ কার্যকর থাকবে।” এর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, আসাম বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৯–১০ মাস বাকি। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটাতে পরিকল্পিতভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে। রাজনীতিবিদদের মতে, এই ঘটনাগুলো নির্বাচনের আগে ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে ব্যবহৃত হচ্ছে।