দীর্ঘ দুই দশক পর আবারও সরাসরি নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রার্থিতার সম্ভাবনা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া বগুড়া, ফেনী ও দিনাজপুর—এই তিনটি আসনের যেকোনো একটি থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এর মধ্যে বগুড়া-৭ আসন থেকে তার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বগুড়া-৭ আসনটি রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, এই আসনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা দলের তৃণমূল পর্যায়ে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে এবং কর্মীদের ঐক্য ও সক্রিয়তা বাড়াবে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-ও একাধিক আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন পেতে পারেন। এরইমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
২০১৮ সালের নির্বাচনে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারেননি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক মামলায় খালাস পাওয়ায় এবার তার আইনি বাধা নেই বলে মনে করছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রত্যাবর্তন শুধু একটি প্রার্থীতা নয়, এটি হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা। এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেবে এবং নির্বাচনী রাজনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে বলেও তারা আশাবাদী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এবং নতুন মোড় তৈরি করবে।