Ridge Bangla

ফিরে দেখা রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান | ৪ আগস্ট ২০২৪

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন। ৪ আগস্ট ছিল সেই আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন। এদিনে সহিংসতায় প্রাণ হারান প্রায় ৯১ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন। ওই ঘটনার পর সরকার দ্বিতীয়বারের মতো সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “যারা নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তারা আর ছাত্র নয়, সন্ত্রাসী।” তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, তারা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ একযোগে জনগণকে কারফিউ না ভাঙার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার।

প্রথমে ৬ আগস্টের জন্য নির্ধারিত ছিল ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি। তবে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন এবং সরকারের কড়া অবস্থান পর্যালোচনায় তা একদিন এগিয়ে আনা হয়। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ওইদিন সন্ধ্যায় এক জরুরি বিবৃতিতে বলেন, “পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি ছাত্র-জনতাকে ৫ আগস্ট সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আহ্বান জানান।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার হয় এবং ঢাকামুখী জনস্রোতের প্রস্তুতি দ্রুততর হয়, যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য হয়।

আরো পড়ুন