বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন। এটি ছিল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে তাঁর নিয়োগের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশে আন্তরিক অভ্যর্থনার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের ‘জুলাই বিদ্রোহ’-এর চেতনার কথা স্মরণ করে কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত প্লানা কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ১৯৯০-এর দশকে সংঘাত-পরবর্তী সময়ে কসোভোর পুনর্গঠনে গ্রামীণ কসোভোর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের জন্য মূল্যবান অংশীদার। যুদ্ধ-পরবর্তী শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।”
বৈঠকে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত কসোভো-বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন এবং দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্প চেম্বারের সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
মানবিক সংযোগ বাড়াতে কসোভোর বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কসোভোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি ও ফেলোশিপ প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।