প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করার মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দেশটি।
ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর উজবেকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। বিশেষ করে কাতারের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করার পর রাজধানী তাশখন্দের মিল্লি স্টেডিয়ামে দেখা যায় অনন্য এক উদযাপন।
২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে উজবেকিস্তান মাসখানেক আগেই। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ড্র করার পর থেকেই দেশজুড়ে উদযাপন শুরু হয়। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে খেলতে যাচ্ছে উজবেকরা। বিষয়টিকে ঘিরে দারুণ উচ্ছ্বসিত দেশটির প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভ। তিনি তাৎক্ষণিক ঘোষণা দেন—জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের সবাইকে দেওয়া হবে বিলাসবহুল গাড়ি।
ঘোষণার বাস্তবায়ন হয় দ্রুতই। মাঠে ম্যাচ চলাকালেই চীনের বিওয়াইডি কোম্পানির ৪০টি দামি গাড়ি সাজিয়ে রাখা হয় টাচলাইনের পাশে। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেইসব গাড়ির চাবি। এমন ব্যতিক্রমী পুরস্কারে অভিভূত উজবেক ফুটবলাররা এবং পুরো দলীয় ব্যবস্থাপনা।
পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও গণমাধ্যম। স্টেডিয়ামের ভেতর সারি করে রাখা গাড়ি ও উপহার গ্রহণের দৃশ্যকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেকেই। কেউ কেউ একে আখ্যা দিয়েছেন ‘স্বপ্নপূরণের ক্ষণ’ হিসেবে।
এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট মিরজিওয়েভ ঘোষণা দিয়েছেন, জাতীয় দলের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় পদক, সনদ ও সম্মানসূচক উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
দলের কোচ তিমুর কাপাদজে বলেন, “এই অর্জন শুধুমাত্র আমাদের না, এটি পুরো জাতির। এই জয় আমরা দেশের জনগণ ও আমাদের প্রেসিডেন্টকে উৎসর্গ করছি।”