পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ২০৩৫ সালের মধ্যে সামরিক প্রতিরক্ষা খাতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যৌথ ব্যয় জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের দ্যা হেগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাসব্যাপী চাপের পর এসেছে। তিনি একে ইউরোপ এবং পশ্চিমা বিশ্বের জন্য ‘একটি বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
নতুন চুক্তির আওতায় ৩.৫ শতাংশ বাজেট সরাসরি প্রতিরক্ষা খাতে এবং অতিরিক্ত ১.৫ শতাংশ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যয় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও স্পেন ও বেলজিয়ামের মতো কিছু দেশ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত তারা সম্মিলিত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। স্পেন জানিয়েছে, তাদের পক্ষে ২.১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নাটকের মোড় ঘোরানো এই সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি নিন্দা না জানালেও যৌথ ঘোষণায় দেশটির দীর্ঘমেয়াদি হুমকি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, “আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
সম্মেলনে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়েও ট্রাম্পের অবস্থান আলোচনায় আসে। রুটে ট্রাম্পের ভাষার প্রশংসা করে বলেন, “জটিল পরিস্থিতিতে দৃঢ় বার্তা গুরুত্বপূর্ণ।” ইউক্রেন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কি চেষ্টা করছে, কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন।” তিনি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষায় সহায়তার ইঙ্গিতও দেন।
ইউকে’র প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বাজেট বৃদ্ধিকে ‘ন্যাটোর শক্তি বৃদ্ধির প্রমাণ’ বলে উল্লেখ করেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলন পশ্চিমা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
