নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এই প্রাণহানি ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৬ জন। এ ঘটনায় ৩৪৭ জন আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত জেন-জেড বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন ও গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলে সহিংসতা আরও বাড়ে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে, নেপালি কংগ্রেসের পদাধিকারীদের বৈঠকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা এবং বিশ্ব প্রকাশ শর্মা নৈতিক কারণে লেখকের পদত্যাগ দাবি করেন। কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা নীরব ছিলেন, কিন্তু লেখক মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাওয়ার আগে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
লেখককে ১৫ জুলাই, ২০২৪ তারিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। দুর্নীতি এবং ২৬টি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নতুন প্রজন্মের তরুণদের ডাকা বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। নিহত ও আহতদের মধ্যে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। এর আগে, ১৫ মার্চ রাজতন্ত্রপন্থী একটি গোষ্ঠীর আয়োজিত বিক্ষোভের সময় অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগের জন্যও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সমালোচিত হতে হয়েছিল।
