মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলাগুলো বাতিল বা তাকে ক্ষমা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে এই মন্তব্য উঠে আসে, যা ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প বলেন, “নেতানিয়াহুর বিচার অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। অথবা এমন একজন মহান মানুষকে ক্ষমা করা হোক, যিনি ইসরায়েলের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমি শুনেছি, সোমবার তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেমন ইসরায়েলকে বাঁচিয়েছে, তেমনই নেতানিয়াহুকেও রক্ষা করবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য শুধু নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত রক্ষাকবচ নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য নীতির দিকেও ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের আক্রমণের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন এর পেছনে রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে মনে করা হচ্ছে, গাজা যুদ্ধ, ইরান অভিযানের হুমকি এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা মিলিয়ে নেতানিয়াহুর সরকার অভূতপূর্ব চাপে রয়েছে। এসব সংকট মোকাবিলায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমর্থনকে একপ্রকার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন।
এদিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। ট্রাম্পের এই প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এতে ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো আরও সংকটের মুখে পড়তে পারে।