সুদানের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ অবসানে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যস্থতাকারী ‘কোয়াড’-এর পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আল জাজিরা জানিয়েছে, আরএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি গ্রহণের মাধ্যমে তারা মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আগ্রহী। তবে সুদানের সরকারি সেনাবাহিনী (এসএএফ) এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের আরব ও আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসাদ বোলুস বলেন, উভয়পক্ষ নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক আপত্তি আসেনি।
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি তিন মাস স্থায়ী হবে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় নতুন বেসামরিক সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে। আরএসএফ জানাচ্ছে, তারা দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতের অবসান চায়। তবে সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, তারা লড়াই চালিয়ে যাবে এবং আরএসএফ সদস্যদের পুনঃসমাজে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়।
উত্তর দারফুরের এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, দখলের সময় একটি শিশু হাসপাতালে অন্তত ৪৬০ রোগী ও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। বর্তমানে আরএসএফ দারফুর ও দক্ষিণ সুদানের কিছু অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, আর সরকারি সেনাবাহিনী দেশের উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
